বগুড়ার দইয়ের খ্যাতি এসেছে গৌর গোপাল চন্দ্র ঘোষের হাত ধরে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর গৌর গোপাল পরিবারসহ ভারত থেকে এসে আশ্রয় নেন বগুড়া শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুরে। আত্মীয়-স্বজনের আশ্রয়ে থেকে শুরুতে বাড়িতে দই তৈরি করে দুটি ডালায় বোঝাই করে কাঁধে ঝুলিয়ে গ্রামের পথে পথে আর হাট-বাজারে বিক্রি করতেন। চাহিদা বাড়তে থাকায় বাড়ি ও হাটের কাছে বিক্রয় কেন্দ্র খুলতে হয় তাঁদের। চাহিদার ভিত্তিতে তাঁরা দইয়ের স্বাদে পরিবর্তন আনতেন। নিয়ন্ত্রণ করতেন মান ও মূল্য। গোপন রাখতেন দই তৈরির ফর্মুলা।
পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানও বগুড়ার দইয়ের সমঝদার ছিলেন। শোনা যায়, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের আনুকূল্য পেতে তিনি সেখানকার কর্মকর্তাদের কাছে উপঢৌকন হিসেবে বগুড়ার দই পাঠিয়েছিলেন। বগুড়ার দইয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন তৎকালীন পাকিস্তানের নওয়াব মোহাম্মদ আলী। তিনি গৌর গোপালকে বগুড়া শহরে বসত ও দইয়ের কারখানা স্থাপনের জায়গা করে দেন। প্রথম দিকে তিনি শুধু বগুড়ার দুটি নবাব পরিবারের জন্যই দই তৈরি করতেন। পরে তাঁর ভাই সুরেন ঘোষের সঙ্গে ব্যবসা সমপ্রসারিত করে বগুড়ার দইয়ের এক নতুন যুগের সূচনা করেন। তাঁদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেন ঘোষ পরিবারের আরেক সদস্য কুরানু ঘোষ।
পরবর্তী সময়ে বগুড়ায় দই শিল্পে সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করান মহরম আলী। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান আকবরিয়া হোটেলও দই ব্যবসায় এগিয়ে আসে।
দাম- এক সরা ৩০০ টাকা
There are no reviews yet.