ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার হাতে তৈরি বাদামী চিনি, কেউ বলেন লাল চিনি, কেউবা ব্রাউন সুগার। আর স্থানীয়রা বলেন ঝুরা বা ঝোড়া গুড়।
বাদামী চিনি দিয়ে বানানো পিঠা, নাড়ু, মোয়া, ক্ষীর, মিঠাই বেশ সুস্বাদু হয়। ওই এলাকায় এখনো নতুন জামাইকে বাদামী চিনির গরম ক্ষীর ও মোয়া দিয়ে আপ্যায়ন করার রেওয়াজ আছে। ময়মনসিংহের বাইরেও এখানকার হাতে তৈরি এই চিনির বেশ কদর রয়েছে।
আখ কাটার উপযোগী হলে চাষিরা মিলে পতিত জায়গায় জ্বালঘর তৈরি করেন। জ্বালঘরের ভেতরে ৮-১০টি চুল্লি বানিয়ে ১০-১২ হাত দূরে ১২ থেকে ১৫ শলা লোহার চাপযন্ত্র বসানো হয়। ইঞ্জিনচালিত মেশিন অথবা গরু-মহিষ দিয়ে আখ মাড়াইয়ের মাধ্যমে রস বের করে জ্বালঘরে থাকা বড় বড় ড্রামে রাখা হয়। এরপর জ্বালঘরের চুল্লিতে বড় লোহার কড়াইয়ে রস জ্বাল করার পর ঘন হয়ে এলে কড়াই নামিয়ে কাঠের তৈরি ডাং (হাতল) দিয়ে গরম রসে দ্রুত ঘর্ষণ করা হয়। আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয়ে সেই রস জমতে থাকে। দ্রুত ঘর্ষণের ফলে একপর্যায়ে বালুকণার মতো হয়ে বাদামী চিনিতে রূপ নেয়।
There are no reviews yet.